ব্লটিং পেপার Blotting paper

 ব্লটিং পেপার


ইংলান্ডে বার্ক শায়ার নামে  একটি জয়গা আছে। সেখানকার কোন এক কাগজ কলের মালিক একদিন একান্ড ভুল করে বসলেন। কাপ্জ তৈরির জানা যে কাঠ খড় কাত করা হয়, তার সঙ্গে আরও কতকগুলো জিনিস মিশিয়ে তবেই পাঠানাে হয় কাগজ কলে। সেজিন ভুল কমে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না মিশিয়ে সােজাসুজি ম্টাকেই পাঠিয়ে দিলেন।


যথারীতি কাগজ তৈরি হয়ে গেল। কিন্তু কাগজের নমুনা দেখে মালিত মাথায় হাত দিয়ে বসলেন। এ * চেহারা হয়েছে কাগজের। উপরটা একেনারে খসখসে, লিখতে গেলে কালি চুইয়ে যায়, এমনই আরও কত অসুবিধা। কতকগুলাে মঙ অকারণে নষ্ট হয়ে গেল বলে মালিক হায় হায় করতে লাগলেন।



মালিক কিন্তু ভারি বুদ্ধিমান লােক ছিলেন। কয়েকদিন পরে ঐ কাগজগুলােকে অন্যভাবে ব্যবহার করা যায় কিনা সে বিষয়ে শুরু করলেন চিন্তা ভাবনা। প্রথমে কাগজের উপরে নিজেই মন্ড ঘষলেন । ইলা, একটু স্বাভাবিক হয়ে গেলেই বাজারে ছেড়ে দেবেন।


কিন্তু কিছুতেই হল। যতবারই কলম ঠেকালেন ততবারই দেখতে পেলেন কালি শুষে নিয়ে লেখা বিশ্রী হয়ে যাচ্ছে এবং কাগজটাও ভিজে যাস্ছে।


মালিক বেচারা কী আর করবেন! হাত গুটিয়ে বসে অন্য চিন্তা শুরু করলেন। এদিকে হয়েছে কী! তিনি যে কলমটায় লিখছিলেন তার ডগায় একটু কালি লেগেছিল। সেটি আবার ঠেকে গিয়েছিল কাগজের কিনারায়। ভদ্রলােক দেখলেন, কাগজটা ধীরে ধীরে শুষে নিচ্ছে কলমের কালিটাকে। চট করে একটা বুদ্ধি এসে গেল মাথায়। ঐ কাগজটাকে লেখার কাজে ব্যবহার না করে কালি শােষণের কাজে ব্যবহার করলে কেমন হয়। এমনিতে লেখার সময় কখনও কখনও কালি পড়ে যায় এবং কাগজকে বিশ্রী করে দেয়। কালি না শুকোলে। কাগজের অপর পৃষ্ঠায় লেখাও যায় না। এই শােষক কাগজের একটা টুকরাে হাতের কাছে থাকলে নিশ্চয়ই সুবিধা হবে।


মুখে হাসি ফুটে উঠলাে অদ্রলােকের। নতুন কাগজের গুণাগুণ বাজারে ফলাও করে প্রচার করলেন। দেখতে দেখতে চাহিদা বেড়ে গেল। মাড় না দেওয়া কাগজকে তিনগুণ দামে বিক্রি তাে করলেনই, অপরদিকে একচেটিয়া ব্যবসাও জুড়ে দিলেন। নাম দিলেন ব্লটিং পেপার।

Post a Comment

Previous Post Next Post