ট্যাঙ্ক (Tanks) কি কেনো কিভাবে আবিষ্কার হলো।

 ট্যাঙ্ক


প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যেসব ধ্বংসকারী জিনিসগুলি আবিষ্কৃত হয়েছিল, তাদের মধ্যে ট্যাঙ্ক একটি। ট্যাঙ্ক যুদ্ধযান বিশেষ। শত্রু সৈন্যের ব্যুহ ভেদ করে এগিয়ে যাওয়া ট্যাঙ্কের প্রধান কাজ। টি.জি.টুক নামে একজন বৃটিশ সৈন্য- বাহিনীর অধিনায়কই ট্যাঙ্কের প্রকৃত পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁর নির্দেশে যে স্থলযানটি নির্মিত হয়েছিল সেটিকে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল, ১৯১৬ খ্রীষ্টাব্দ ৮ই ফেব্রুয়ারী জার্মানদের সঙ্গে যুদ্ধে। সেই বছর সেপ্টেম্বর মাসে বৃটিশ সৈন্যবাহিনী সােমের যুদ্ধে জার্মানদের বিরুদ্ধে উনপঞ্চাশটি ট্যাঙ্ক ব্যবহার করেছিল। যুদ্ধে এত অধিক সংখ্যক ও কার্যকরী স্থলযান এই প্রথম ব্যবহৃত হয়। সেই যুদ্ধে জামনিীরা বড় অসুবিধায় পড়েছিল। অপরাপর যুদ্ধেও ট্যাঙ্কের কৃপায় বৃটিশ বাহিনী বিপুলভাবে জয়লাভ করে। সত্যকথা কি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে স্থলভাগের উপর জার্মানদের পরাজয়ের মূল কারণ ছিল ঐ ট্যাঙ্ক।



প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যে ট্যাঙ্কগুলি ব্যবহৃত হয়েছিল, তাদের গতিবেগ বেশী ছিল । সে সময় খুব দ্রুতগামী ট্যাঙ্কের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় মাত্র বার মাইল মানুষ যেভাবে পথ হাঁটে তার প্রায় তিনগুণের মত ছিল


প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ট্যাঙ্কের আরও উন্নতি সাধনের প্রচেষ্টা চালানো হয়। বিশেষতঃ ইংলন্ড, ফ্রান্স, জার্মানী, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং সােভিয়েত ইউনিয়ন নানা ধরনের ট্যাঙ্ক ব্যবহার শুরু করে। সে সময় ট্যাঙ্কের গতিবেগ ছিল বিশ মাইল থেকে পঞ্চাশ মাইল



যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাঙ্ক ব্যবহারের একটা বড় সুবিধা এই যে, বন-জঙ্গল, পাথুরে এলাকা, সব জায়গা দিয়ে ট্যাঙ্ককে চালনা করা যায়। বর্তমানে অবশ্য ট্যাঙ্কবিধ্বংসী কামান আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে সাধারণ গুলিগোলা ট্যাঙ্ক বা ট্যাঙ্ক আরােহীদের কোন ক্ষতি করতে পারে না। যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যদের নিরাপত্তা বিধান এবং শত্রু সৈন্যদের উপর পাল্টা আক্রমণ চালানাের জন্যই ট্যাঙ্কের ব্যবস্থা।


Post a Comment

Previous Post Next Post