চলচ্চিত্র
মানুষ যখন ক্যামেরার সাহায্যে চিত্রকে স্থায়ী করতে সমর্থ হলাে, তখনই অনেকের মনে চিন্তা আসে, আমরা যেমন ঘুরে বেড়াই, হাত-পা নাড়ি, কথাবার্তা বলি, ঠিক সেইভাবে ছবিকেও সচল ও সবাক করতে পারি না! যদি হতাে, তাহলে কী মজাটাই না হতো? এই পরিকল্পনাটা মনে হয় প্রথমে কালিফোর্নিয়া স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিষ্ঠাতা লেল্যান্ড সাহেবের মাথায় এসেছিল। ঘােড়ার চড়তে বেজায় ভালবাসতেন তিনি। একদিন মাইব্রিজ নামে সুদক্ষ এক ফটোগ্রাফারকে জানালেন
তার মনের কথা এবং বললেন, যেমন করে হােক ঘােড়া ছােটানাে অবস্থায় একটা সচল ছবি তাঁকে তুলে দিতেই হবে। মাইব্রিজ কয়েকদিন ধরে ব্যাপারটিকে নিয়ে বেশ ভালভাবে চিন্তা করলেন।
শেষে উদ্ভাবন করলেন এক অভিনব উপায়। মাইব্রিজ করলেন কী! চব্বিশটি ক্যামেরা এনে একটা খােলা মাঠের একপ্রান্তে সমদূরত্বে বসিয়ে রাখলেন। সবগুলি ক্যামেরার শাটারের সঙ্গে বাঁধলেন একগাছা করে সর সূতাে। সুতাের অপরপ্রান্ত গুলোকে সােজাসুজি মাঠের ওপ্রান্তে টেনে নিয়ে গিয়ে টান টান করে বাঁধলেন খুটির সঙ্গে। তারপর লেল্যান্ড সাহেবকে নির্দেশ দিলেন ক্যামেরার সম্মুখ দিয়ে ঘােড়া ছুটিয়ে দিতে। ছুটে চললাে লেল্যাতের ঘোড়া। আর ঘোড়ার ক্ষুরের ধাক্কায় সূতােগুলাে একে একে পটপট করে ছিড়ে গেল এবং শার্টারগুলাে খুলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধও হয়ে গেল।
ঐ পদ্ধতিতে মাইব্রিজ চকিশেটি ক্যামেরার সাহায্যে গতিশীল অশ্বের পিঠে লেল্যান্ড সাহেবের নিম্নি অবস্থান অনুযায়ী ছবি ধরে রাখতে পেরেছিলেন মাত্র, কিন্তু প্রদর্শন করতে পারেন নি। ছবি কে গতিশীল করার উপায় আবিষ্কার প্রকৃতপক্ষে টমাস আলভা এডিসনের। এই উদ্দেশ্যে তিনি দুটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন। যন্ত্র দুটির একটির নাম কিনেটোগ্রাফ এবং অপরটির নাম কিনেটোস্কোপ। প্রথম যন্ত্রটি ব্যবহার করেছিলেন চলচ্চিত্র গ্রহণের জন্য এবং ইন্টমযান নামে জনৈক মার্কিন বিজ্ঞানী সেলুলয়েডের তৈরি ফিল্ম আবিষ্কার করেছিলেন। এডিসন সেই ফিল্ম কে কাজে লাগিয়েছেন এবং তৈরি করেছিলেন দৃশ্য বস্তুর বিভিন্ন অবস্থানের ছবি।
তারপর ওকে একটা বাক্সের মত যন্ত্র ভেতরে রােলারে জড়িয়ে রেখেছিলেন। রােলারকে মানের জন্য একটা হাতলও যুক্ত করেছিলেন। হাতল ঘােরালে রােলার থেকে ছবি গুলে যেতো এবং আর একটি রােলারে আপনা হতে জড়িয়ে যেতে। বাক্সটির সামনে এডিসন রেখেছিলেন দুটি বড় বড় ছিদ্র। মাত্র দু'জন দর্শক উপযুক্ত দর্শন দিয়ে সেই সচল ছবিকে দেখতে পারতাে। এডিসনের এই যন্ত্র বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছিল। সেই কারণে চলচ্চিত্রের উন্নতির জন্য অনেকেই মাথা ঘামাতে শুরু করেন এবং এডিসনের যন্ত্রটিকে
pele tader de we eifee s le re urn শমাট। ইনিই প্রথম কাজ পঞ্জিকার পূর্ণার পর চলচ্চিত্র এলশনের পদ্ধতি আজকের করেন। লে বনে এককে বসে হৰি দেখা সুমােগ লা করে। আ-বিয়েটা খেকে ছবি জালা হকো। দর্শনকালে নাটকে লুশীলা মত পা শব, অ্চি করেন, টি নাড়তে কিছু শােনা যে না। তথে আগাগোড়া প্রঃ কাহিনীকে হতে পারবেন না। অংশ বিশেষ ধরে রাখতেন একং দর্শন করেন।
শত্রক ব্যবস্থা কি দেখানো ধরে চলে আসছিল। কি একই জিনিস সবসময় থেকে মানুষে মনােকন করতে সমর্থ হয় শ ণং সবসময় নতুনের পিয়ালী সে, তাই এই মূকাঙিলয় এবং কাহিনী-শূন্য চিত্রে আর সন্তু খাককে পালা না। পালেন না নতুনের প্রতি যাদের সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ নেই। বিজ্ঞানী ও শিল্পীরা। তাঁ ভাবলেন, তাল ভাল কাহিনীকে কী চাপ দেওয়া
হয় ? পুরাে কাহিনীকে নিয়ে এটি করেন প্রথম এই পাের্টার নামে জনৈক ক্যামেরাম্যান। বিংশ শতাব্দীর গােড়ার »িকে “নি ভোট ট্রেন বারি” নামে একটি কাহিনীর চিত্রক প নিলেন। যমিও এটি নির্বাক চলচ্চিত্র ছিল, তবুও উৎসাহী হয়ে উঠলাে মানুষ। কাহিনীমূলক এই ছবিটিকে দেখার জন্য চারদিকে যেন সাড়া
পড়ে গেল। চলচ্চিত্রে প্রতি জনসাধারণের আকাণি দেখে এবার ব্যবসায়ীরা ছুটে এলেন। তাঁরা অর্থব্যয়ে ভাল ভাল ক্যামেরাম্যানের সাহায্যে জনপ্রিয় কাহিনীগুলোর চিত্রপ দিলেন। সেই সময়টাতে বেশীর ভাগ চলচ্চিত্রের বহিদৃশ) গরহণ করা হতে ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউড নামে একটি জায়গায়। কারণ, হলিউড বৃষ্টিপাত খুব কম হতা, বছরের অধিকাংশ দিন রােদে ঝলমল করে এবং আবহাওয়া টাও ভাল ছিল। ব্যবসায়ীরা তাই বুঝে নিয়েছিলে, বছরের অধিকাংশ সময় কেবলমাত্র এইখানেই ছবি তোলা সম্ভব। তাই দলে দলে সবাই ছুটতে হলিউডে এবং সেই থেকে হলিউডে চলচ্চিত্র শিল্পের রাজধানীরপে পরিগণিত হয়ে আসছে। যদিও বর্তমানে জাপানই তৈরি করছে সবচেয়ে বেশী ছবি।
চলচ্চিত্র শিল্পে প্রথম আধুনিকতার ছাপ দেন ডি.ডবু গ্রিফিথ তাঁর "দি বার্থ অফ এ নেশান" নামক ছবিতে। তবু এতদিন পর্যন্ত ছবিকে সবাক করানাের কোন উপায় কেউ আবিষ্কার করতে পারেন নি। শুধু অল্প কথায় কাহিনীর পরিচিতিটুকু লিখে পর্দায় দেখানাে হতাে।
সবাক চিত্র প্রস্তুত হয়েছে বিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকের গােড়ার দিকে। প্রথম সবাক চিত্রটির নাম "দি জাজ সিঙ্গার। প্রকৃতপক্ষে ঐ সময় থেকে চলচ্চিত্র সবদেশেই জনপ্রিয়তার একেবারে শীর্ষে আরোহণ করে।
